রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
রাতারাতি তারকাখ্যাতি থেকে পথের ফকির। কালের খবর

রাতারাতি তারকাখ্যাতি থেকে পথের ফকির। কালের খবর

বিনোদন রিপোর্ট , কালের খবর :
বলিউডের জৌলুস সবার সয় না। অনেকেই এই রূপালী জগতের গোলক ধাঁধায় পড়ে খেই হারিয়ে ফেলেন। কেউ কেউ রাতারাতি তারকাখ্যাতি থেকে ছিটকে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। শেষ জীবন তাদের কাটে অসহায় অবস্থায়। বলিউডের সেসব নামী কয়েকজন তারকাকে নিয়ে এই ফিচার।

ভারত ভূষণ: বলিউডে পঞ্চাশের দশকে জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন। ১৯৫২ সালে তার ‘বাইজু বাওরা’ খুব জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়া মির্জা গালিব (১৯৫৪), বসন্ত বাহার (১৯৫৬), ফাগুন (১৯৫৮) এর মতো বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছিলেন ভারত ভূষণ। তবে জাঁকজমক জীবনযাপনই এক সময় কাল হয়ে ওঠে তার জন্য। জুয়ায় আসক্ত ছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে সব অর্থ, কয়েকটি বাড়ি, গাড়ি জুয়া খেলে হারান। এক সময় তাকে বস্তিতেও থাকতে হয়। এমনকি পরে একটি ফিল্ম স্টুডিওর দারোয়ানের চাকরিও করেছেন তিনি।

ভগবান দাদা: চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা ও পরিচালক ভগবান দাদা। দামি বাংলো, গাড়ি কেনার শখ ছিল তার। কিন্তু শেষ জীবনে মুম্বাইয়ের এক নোংরা বস্তিতে মৃত্যুবরণ করতে হয় তাকে। দুটি ছবি ‘ঝামেলা’ ও ‘লাবেলা’ ফ্লপ করায় আর্থিক দিক থেকে একবারেই নিঃশেষ হয়ে যান তিনি। পরে বস্তিতে থাকতে বাধ্য হন। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

মীনা কুমারী: বলিউডে পঞ্চাশের দশকে দুর্দান্ত এক অভিনেত্রী। আসল নাম মাহজাবিন। অভিনয়ের খাতিরে পাল্টে ফেলেন নাম। তবে ভাগ্যটা আর পাল্টায়নি। বিয়োগান্তক ছবিতে স্মরণীয় অভিনয় করে ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। চারবার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পান তিনি। ‘বাইজু বাওরা’ (১৯৫৪), ‘পরিণীতা’ (১৯৫৫), ‘সাহেব বিবি গোলাম’ (১৯৬২), ‘কাজাল’ (১৯৬৬) ‘পাকিজা’ (১৯৭২) তার অভিনীত অন্যতম ছবি। তবে ৩৮ বছরে যখন লিভার সিরোসিসে মারা যান তিনি, তখন একেবারে নিঃস্ব হয়েই চির বিদায় নিয়েছেন। হাসপাতালের বিল দেয়ার সামর্থ্যও ছিল না তার।

অচলা সাচদেব: বলিউডের বেশ কিছু ক্লাসিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। ১৯৩৮ সালে ‘ফ্যাশনেবল ওয়াইফ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়। এরপর ১৩০টি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৬৫ সালের ছবি ‘ওয়াক্ত’ এ তার চরিত্র ছিলো মনে রাখার মতো। ‘এ মেরি জোহরা জাবিন’ গানটির মধ্য দিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। এছাড়া সুপারহিট মুভি ‘চাঁদনী’ (১৯৮৯), ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ (১৯৯৫), ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ (২০০১), ‘কাল হো না হো’ (২০০৩) ছবিতে অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী। প্রথম বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্বামী মারা যাওয়ার পর একাই বসবাস করতেন। মৃত্যুর ৫ বছর আগে তিনি তার ফ্ল্যাট পুনের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দান করে দিয়ে যান। শর্ত ছিল ঐ প্রতিষ্ঠান তাকে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সব দিক দিয়ে খেয়াল রাখবে। কিন্তু ২০১১ সালে রান্নাঘরে পা পিছলে পড়ে মস্তিষ্কে মারাত্মকভাবে আঘাত পান। এরপর প্যারালাইসিসসহ নানা জটিলতায় ভুগে পুনের এক হাসপাতালে নিদারুণ কষ্টে মারা যান তিনি।

ভিমি: বলিউডে ‘হামরাজ’ (১৯৬৭), আব্রু (১৯৬৮), পতঙ্গ (১৯৭১) ছবিতে অভিনয় করে গ্ল্যামারাস নায়িকা ভিমি দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তার স্বামী তাকে ছবিতে অভিনয় না করতে চাপ দেয়। স্বামীর সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিলে ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন ভিমি। এক পর্যায়ে আর্থিক দৈন্যতায় হাসপাতালে নিঃস্ব অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

পারভীন ববি: আশির দশকে বলিউডের গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী পারভীন ববি ছিলেন বেশিরভাগ তরুণের হার্টথ্রব। সে সময় বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে ১২টি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। বিয়ে করেননি। তবে অভিনেতা কবির বেদি, ড্যানি ডেনজোগপা ও পরিচালক মহেশ ভাটের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে কারো সাথেই তার সম্পর্ক টেকেনি। প্রচন্ড মানসিক অবসাদে ভুগে ও দারিদ্র্যের কারণে রোগে ভুগে বলিউডে একটি ফ্ল্যাটে নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যান তিনি।

রাজ কিরন: আশির দশকে বলিউডে খুব চেনা মুখ ছিলেন রাজ কিরন। কার্জ (১৯৮০), বাসেরা (১৯৮১), আর্থ (১৯৮২) এর মতো আলোচিত, প্রশংসিত ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আরো অনেক সামাজিক ছবিতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু এক পর্যায়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন এই অভিনেতা। সবাই ভেবেছিল মারা গেছেন তিনি। পরে তার বন্ধু, সহঅভিনেতা ঋষি কাপুর তাকে আমেরিকায় এক মানসিক হাসপাতালে খুঁজে পান।

এ কে হানজাল: বিখ্যাত ছবি ‘শোলে’র সেই অন্ধ ইমামের কথা মনে আছে তো? হৃদয়গ্রাহী ঐ চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা এ কে হানজালকে বলিউডে দুই শতাধিক ছবিতে দেখা গেছে। গুণী এই অভিনেতার জীবনের শেষ দিকে এসে নিদারুণ অর্থ কষ্টে কেটেছে । হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিলটাও দিতে পারছিলেন না। খবরটা জানতে পেরে মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন এগিয়ে আসেন। সে সময় অমিতাভ ২০ লাখ রুপি সহায়তা দেন ঐ অভিনেতাকে।

গীতাঞ্জলি নাগপাল: সফল মডেল গীতাঞ্জলি নাগপাল অনেক ফ্যাশন ডিজাইনারের জন্য র‌্যাম্পে হেঁটেছেন। মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেনও সে সময় তার সঙ্গী ছিলেন । পরবর্তী সময়ে বলিউডে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন গীতাঞ্জলি। কিন্তু সফল হননি। পরে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি এতোই নাজুক ছিল যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন গীতাঞ্জলি। ২০০৭ সালে তাকে দক্ষিণ দিল্লির রাস্তায় ভিক্ষা করতে দেখা যায়। পার্ক ও মন্দিরে রাত কাটাতেন। এমনকি অন্যের বাড়িতে ঝি-এর কাজ করে মাদকের টাকা যোগাড় করতেন। পরে নারীবাদী সংগঠন দিল্লি কমিশন ফর উইমেনের সহায়তায় মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। ২০০৮-এ তাকে নিয়ে বলিউডে ‘ফ্যাশন’ সিনেমা মুক্তি পায়। সুপারহিট ঐ ছবিতে তার চরিত্রে অভিনয় করেন কঙ্গনা রাণৌত।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com